
বিদেশ ডেস্ক ::
মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের ১৪ সদস্য ও ৪ বেসামরিক নাগরিককে শনিবার (৫ জানুয়ারি) মুক্তি দিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। রাখাইন রাজ্যের বুথিয়াডং এলাকায় শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) হামলা করার সময় তাদের আটক করা হয়েছিল। শনিবার আরাকান আর্মির এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এ বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে তারা। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) মিয়ানমারের ৭১তম স্বাধীনতা দিবসে বুথিয়াডং এলাকার চারটি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। হামলার সময় বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়। তবে মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ১৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯ জন।
হামলার একদিন পর শনিবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানায় আরাকান আর্মি। সেখানে অভিযোগ করা হয়, কিয়াউক তো, রাথেডং ও বুথিয়াডং এবং বাংলাদেশ ও ভারত সংলগ্ন সীমান্তে আরাকান আর্মিকে মোকাবিলায় প্রায় দুই মাস ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হামলা জোরদার করেছে। হেলিকপ্টার ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হচ্ছে এবং পুলিশ রেজিমেন্টগুলোকে সংঘাতের এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলছে, ‘রাখাইন অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই লড়াই হচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে।’ আরাকান আর্মির দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘ফোর কাটস’ কৌশল ব্যবহার ও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের কারণে শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) তারা চারটি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে বার্মিজ সোশ্যালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টির শাসন চলার সময় ‘ফোর কাটস’ নীতির প্রয়োগ শুরু হয়। জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীদের খাদ্য, তহবিল, তথ্য ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
পাঠকের মতামত